মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, বগুড়া প্রতিনিধি: েবগুড়ায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এজেন্ট ব্যাংক থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাত করার মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার রাতে ঢাকার ধামরাইয়ের তালতলা এলাকা থেকে র্যাব—১২ বগুড়া ও র্যাব—৪ সাভারের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুজন রহমান। তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার এনামুল হকের ছেলে এবং ওই এজেন্ট ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।
গত ২৩ মে মার্জিয়া বেগম নামের এক গ্রাহক ওই ব্যাংকে তার জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে এসে এ্যাকউন্টে টাকা কম দেখতে পেলে সুজনের টাকা আত্মসাতের ঘটনা সামনে আসে। ওই দিন সুজন ব্যাংকে না আসলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বাসায় তালা লাগিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন।
চলতি বছরের ২৩ মে হঠাৎ ক্যাশিয়ার সুজন সপরিবারে নিরুদ্দেশ হন। এরপর ২৬ মে ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহক সঞ্চয়ী হিসাব থেকে টাকা তুলতে এসে দেখেন তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা নেই। এতে সুজনের প্রতারণার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরে শতাধিক গ্রাহক টাকা ফেরত নিতে এসে দেখেন তাদের হিসাব নম্বরে জমাকৃত টাকা নেই। গত ২৮মে এজেন্ট আউটলেটের সত্বাধীকারি নুরুল ইসলাম তার আপন ভাতিজা ক্যাশিয়ার সুজন ও তার বাবা—মায়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এদিকে এজেন্ট নুরুল গ্রাহকের কাছে দায়বদ্ধ থাকলেও আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় গত ১১ জুন ইসলামি ব্যাংক পিএলসির দুপচাঁচিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে নুরুল ইসলামসহ ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। এরপর থেকে দুই মামলার সকল আসামী প্রায় দেড় মাস পলাতক রয়েছেন। গত ২৩ জুন গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত ও আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে এজেন্ট আউটলেটের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। ঘন্টা খানেক পর চাঁপাপুর এজেন্ট আউটলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম আমানতকারিদের বুঝিয়ে তালা খুলে ফের কার্যক্রম শুরু করেন।
বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেন জানান, র্যাবের যৌথ অভিযানে আদমদীঘির চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুজনের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, হঠাৎ তার বড় চাচা নুরুল আর্থিক সংকটে পড়েন। একারনে তারা পরিকল্পনা করেন গ্রাহকের টাকা জমা নেওয়ার সময় রিসিপ্ট না দিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করবেন। সে অনুযায়ী টাকা গ্রাহকের একাউন্টে জমা না করে নিজেরা ভাগ করে নিতেন। অপরদিকে গ্রাহকের একাধীকবার ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে তাদের একাউন্ট থেকে অধিক টাকা উত্তোলন করতেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গ্রেপ্তার সুজনকে আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: