October 8, 2024 - 8:16 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশঈদগাঁও-গোমাতলী সড়কে ৫'শ খানাখন্দ, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ঈদগাঁও-গোমাতলী সড়কে ৫’শ খানাখন্দ, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

spot_img

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: ছবির দৃশ্যটি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পরিষদের যাওয়ার প্রবেশপথ। যেটি জাতিসত্বার কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদার নামে নামকরণ। এ সড়ক দিয়ে যেতে হয় উপজেলা পরিষদ, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। এ ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , ব্যবসা, কৃষি, মৎস্য, ব্যাংক বীমাসহ নানা কর্মক্ষেত্রে ।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে উপজেলা গঠন, প্রশাসনিক অবকাঠামো নির্মাণকাজের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিলেও জরুরি চলাচলের জন্য এক ডাম্পার বালি, ইট, কংকর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়, ইসলামাবাদ, পোকখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি।দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ৯ কিলোমিটার সড়কজুড়ে রয়েছে ৫ শ’র বেশি গর্ত।

সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের খোদাইবাড়ী নতুন রাস্তা মাথা থেকে গোমাতলী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে উপজেলা ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে, জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালেয়ের সামনে, বাঁশঘাটা পয়েন্ট, ইউছুপের খীলের রাস্তা মাথা, ভুইল্লার টেক, চরপাড়া সড়ক, রেল লাইনের পশ্চিমের সিকদার পাড়া, পাহাশিয়া খালী, টেকপাড়া, ইছাখালী,নতুন বাজার, পূর্ব পোকখালী, অঁর গোরা, পূর্ব গোমাতলী, বাংলা বাজার, গোমাতলী বাজারের পূর্ব পাশে পর্যন্ত প্রায় ৫ শ’র বেশি খানাখন্দে ভরপুর। এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে পোকখালী, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে ঝুঁকি নিয়ে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ৪ বছর আগে সড়কটির সংস্কার কাজে টেন্ডার হয়।ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি সড়কটি।ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে অল্প দিনে চলাচলের অনুপযোগী সড়কে পরিনত হয়েছে।

সেলিম উল্লাহ নামের এ সড়কের বাসিন্দা জানান, গ্রীষ্মকালে কোনো রকম চলাচল করতে পারলে টানা কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গর্তগুলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানিতে উল্টে যাচ্ছে যানবাহন। কোথাও কোথাও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মানুষ হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না গেলে দূর্ঘটনার কবলে মৃত্যু অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে।

জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, এ সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রতিদিন কাঁদা মাটি, নোংরা পানি পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়।যানবাহন নিয়ে গেলে চরম ঝুঁকিতে থাকতে হয় সহপাঠীদের।

স্কুল শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে বহু আগে। সংশ্লিষ্টের অবহেলার কারণে সংস্কারবিহীন পড়ে আছে। দ্রুত সংস্কার করা না গেলে ৩ ইউনিয়নের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, সৎ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেয়া হলে অনিয়ম দূর্নীতি করতে পারবে না। বলেন, এর আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়কটি মেরামত করায় বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ঈদগাঁওয়ের প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। বর্ষার পরপরই কাজ শুরু হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ