নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে আর কখনই জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না জানিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ এদেশে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ৮ বছর পূর্তিতে পুরাতন গুলশান থানার ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে নিহতদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে র্যাব অনেক আধুনিক হয়েছে। একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে র্যাবের। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি জঙ্গিরা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও তৎপর। পলাতক জঙ্গিদের নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে।
এ সময় জঙ্গিবাদ নির্মূলে র্যাবের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে র্যাবের। নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জঙ্গিবাদ। সাইবার স্পেসে নজরদারি অব্যাহত আছে।’
র্যাব ডিজি বলেন, ‘২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে র্যাব ও পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে র্যাব ও পুলিশ সক্ষম হয়। অনেক জঙ্গিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়। এখন আর ওইভাবে জঙ্গি তৎপরতার তথ্য নেই। জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এখন নিরাপদ একটি দেশে।’
আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সার্বক্ষণিক জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিরা এক সময় নানা প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করেছে। জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছে এক সময়। আমরা এসব বিষয়েও নজরদারি করছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও নজরদারি রয়েছে। আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল গোটা দেশকে। জঙ্গিরা ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে।
নারকীয় ওই হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। পরে সেনা অভিযানে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি নিহত হয়।
জঙ্গিদের ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালে ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। পরে গত বছর গেল বছর ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এখনও সেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি।