চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিতে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা টানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এখনো ভোটের আরও দুই ঘন্টা বাকি। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে। ভোট মনিটরিং করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করার কথা রয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হবে।
সরেজমিনে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, টাইগারপাস রেলওয়ে এমপ্লয়িজ গালর্স হাই স্কুল ভোট কেন্দ্রের ২৪৩৩ ভোটের মধ্যে বেলা পৌনে ১২ টা পর্যন্ত ৫০০ ভোট পড়েছে।এদিকে টাইগারপাস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪০১৬ ভোটের মধ্যে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৬০০ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার।
ওদিকে বেলা সাড়ে ১২টায় লালখান বাজার শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুপুরের আগেই সাড়ে ৭শ’ ভোট কাস্ট বলে জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার। সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি আগের অন্যান্য নির্বাচনী এলাকা গুলো থেকে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে পোস্টার, ফেস্টুনে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এ উপ-নির্বাচনে প্রার্থীরা হচ্ছেন— আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।
এছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য ১৬৪জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৩১৪জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৬২৮জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন। এই আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১০ আসন। সাবেক মন্ত্রী ও তিন বারের এমপি ডা. আফছারুল আমিনের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই উপনির্বাচন।