কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন আরও ৫২ বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন।
এর আগে বুধবার (১০ মে) পোর্ট সুদান থেকে সুদানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে জেদ্দায় পৌঁছান ১৭৬ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে থেকে ৫২ জন দেশে ফিরলেন।
এছাড়া আজ কাতার এয়ারলাইন্সে আরও ১৩০ জন ও মদিনা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ২৩৮ জনের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
অপরদিকে, শুক্রবার (১২ মে) বিশেষ ফ্লাইটে আরও ৫৫৫ জন বাংলাদেশি সুদান থেকে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ৫৫৫ জন বাংলাদেশিকে পোর্ট সুদান থেকে ফিরিয়ে আনতে আমরা নিজ খরচে চারটি ফ্লাইট ঠিক করেছি। প্রথমে বাংলাদেশির পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় আনা হবে। এরপর সেখান থেকে বিশেষ ফ্লাইটে আগামী ১২ মে তারা ঢাকায় ফিরবেন।
গত সোমবার (৮ মে) বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে প্রথম দফায় দেশে ফেরেন ১৩৬ বাংলাদেশি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। রোববার (৭ মে) সৌদি এয়ারফোর্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
এদিন সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইটে প্রথম দফায় পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছান ৭০ বাংলাদেশি। পরে আরও দুই দফায় পৌঁছান ৬৫ জন।
দূতাবাস বলছে, সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বাংলাদেশি বর্তমানে পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
গত মাসের ১৫ এপ্রিল সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর হামলা হয় রাজধানী খার্তুমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে আটকেপড়া ৬৭৫ বাংলাদেশিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ৩ মে রাজধানী খার্তুম থেকে ৮৫০ কিলোমিটার পথ বাসে পাড়ি দিয়ে পোর্ট সুদানে নেয়া হয় তাদের।
পোর্ট সুদান থেকে জাহাজে করে জেদ্দায় নেয়ার কথা কথা থাকলেও, ট্রাভেল পারমিট ও জাহাজ পাওয়া নিয়ে জটিলতার কারণে এতদিন পোর্ট সুদানেই অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশিরা।