স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৩ সালে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। পরের বছর ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান জাতীয় দলের একসময়ের সবচেয়ে বড় তারকা। যে সাজা পরবর্তীতে কমে ৫ বছরে নেমে আসে।
পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার পর মোহাম্মদ আশরাফুল জাতীয় দলে ফেরা নিয়েও ছিলেন আশাবাদী। কয়েক মৌসুম চেষ্টা করে সুখবর মেলেনি। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দল পাননি। স্বপ্ন দেখাও ছেড়ে দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটার।
রোববার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর সিটি ক্লাব মাঠে একটি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের কনিষ্ঠতম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান জানালেন, আর এক-দুইটা মৌসুম খেলে সবধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন। খেলা ছেড়ে কোচিং ক্যারিয়ার গড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
‘এখন আর আশা (জাতীয় দলে ফেরা) করি না। আমি তো যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু যারা তরুণ তারা যে বসে আছে, আমি তাদেরকে নিয়ে চিন্তিত। আমি এখন শুধু খেলতে চাই। আর হয়ত একটা দুইটা সিজন খেলব, তারপর তো, যথেষ্ট খেলেছি।’
‘খেলা ছাড়ার পর বোর্ডে, এখনও ওইভাবে চিন্তা করিনি। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে চাই। যেহেতু আমার খেলার একটা অভিজ্ঞতা আছে। সেই জিনিসগুলো শেয়ার করতে চাই।’
রাসেল ডমিঙ্গো চলে যাওয়ায় হেড কোচের পদ এখন ফাঁকা। জাতীয় দলের সাবেক কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের ফেরার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন শ্রীলঙ্কান কোচ ফিরলে সিনিয়র খেলোয়াড়রা চাপে পড়তে পারেন।
এমন শঙ্কা উড়িয়ে আশরাফুল বললেন, ‘হাথুরুর যেটি সেরা গুণ, নিজের পরিকল্পনায় বেশি চলবে। আমাদের দেশের সংস্কৃতিও ভালো জানে। আমার মনে হয় ভালো হবে।’
‘(সিনিয়র খেলোয়াড়দের ভয়ের কারণ) এটা আসলে বাজে কথা। তার সময় কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়রা জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছেন। তামিমের ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে। তার গড় ৬০-৭০ ছিল হাথুরুর সময়ে। এমনকি সাকিব-মাহমুদউল্লাহর সেরা সময় ছিল তার অধীনেই। আমি মনে করি না। এটা আপনাদের মিডিয়ার হয়তবা একটা কথা। হাথুরু আসলে সিনিয়রদের ঝামেলা হবে, এটা বাজে কথা। আসলে আরও ভালো হবে। পারফরম্যান্স আরও বেশি করবে।’
জাতীয় দলের হয়ে আশরাফুল ৬১ টেস্ট, ১৭৭ ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যেখানে ৯টি সেঞ্চুরিতে তিনি সাড়ে ৬ হাজারের ওপর রান করেছেন। পাশাপাশি স্পিন বোলিংয়ে ৪৭টি উইকেটেও পেয়েছেন তিনি।