December 17, 2025 - 7:08 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeকর্পোরেট-অর্থ ও বাণিজ্যঅর্থ-বাণিজ্যদেশে কমেছে কোটিপতির সংখ্যা

দেশে কমেছে কোটিপতির সংখ্যা

spot_img

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা কমেছে। যদিও এসময়ে মোট আমানতের পরিমাণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ আট হাজার ৪৫৭ জন। আর সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে কোটিপতির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ছয় হাজার ৫২০ জনে।

হিসাব বলছে, তিন মাসের ব্যবধানে দেশে কোটিপতি কমেছে এক হাজার ৯৩৭ জন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮টি। এসব আমানতকারীর হিসাবে জমা ছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ৫১৩টি। তাদের হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এদের মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার ৫২০টি হিসাবে কোটি টাকার ওপরে রয়েছে।

১০টি ক্যাটাগরিতে কোটিপতি আমানতকারীদের হিসাব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৩০ জুন শেষে ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবধারী ছিল এক হাজার ৮০৫ জন। ৩০ সেপ্টেম্বর তা কমে হয়েছে এক হাজার ৬৬০ জন। ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার আমানতকারীদের হিসাব গত ৩০ জুন ছিল ৬২১টি। ৩০ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২৩টি। ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার হিসাব ৩০ জুন ছিল ৩০৭টি, ৩০ সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৯টিতে।

৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার হিসাবধারী ৩০ জুন ছিল ৫০২টি, সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৮টিতে। ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার হিসাব কমেছে ২৩টি। জুনে এটি ছিল ৮৮৩টি আর সেপ্টেম্বরে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৮৬০টিতে। ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার হিসাব আলোচিত সময়ে এক হাজার ১৫১টি থেকে কমে এক হাজার ১৪৭টি হয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর এক কোটি থেকে ২০ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যাও কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল পাঁচ জন। ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে দুই হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে পাঁচ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে আট হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০২০ সালে ডিসেম্বর শেষে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কোটি টাকার হিসাব কমে যাওয়া মানে এসব অর্থ অন্য খাতে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিত্তশালীরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে জমি বা ফ্ল্যাট কিনে রাখছেন। কারণ, এসবের দাম সাধারণত কমে না, বাড়তেই থাকে। এ ছাড়া অনেকে ডলার কিনে রাখছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

হাদিকে হত্যার প্রচেষ্টা : আগামী নির্বাচন

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেরদিন রাজধানীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করা হলো ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থী, ইনকিলাম মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ...

নোয়াখালীতে গাড়ির গ্যারেজে ঝুলছিল চালকের মরদেহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সেনবাগে গ্যারেজ থেকে এক চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা...

সিরাজগঞ্জ–৫ আসনে জামায়াত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ–৫ (বেলকুচি–চৌহালী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বুধবার দুপুরে বেলকুচি...

বার্ষিক পরীক্ষা শেষে পড়াশোনার চাপ না থাকায় হাজিরার বিনিময়ে ছাত্ররা মাঠে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: শ্রমিক সংকট কাটাতে কনকনে শীত আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে কৃষকের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বার্ষিক পরীক্ষার পর অবসর সময়টুকু কাজে...

আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত

কর্পোরেট ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় দেশের তরুণ প্রজন্মকে ব্যাংকিং কার্যক্রম, সঞ্চয় অভ্যাস ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে ‘তারুণ্য উৎসব ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে...

সিরাজগঞ্জে প্রকাশ্যে ৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, যুবদল নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর ছেলের কাছ থেকে প্রকাশ্যে চার লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবদল নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রবিবার...

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে ৪-৫ বছর লাগে: গভর্নর

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনতে সাধারণত ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড....