আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদুশৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা দিন দিন কমতেই থাকছে একই সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। তীব্র শীতে থমকে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯০ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও তাপ ছড়াতে পারছেনা। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। গেল দু’দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারনে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে।
অপরদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়নি। প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, সকালে আবহাওয়া অফিসে খোঁজ নিয়ে জানার পরপরই প্রতিটা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান বন্ধে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার মডেল সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লতিফুন নেছা জানান, তাপমাত্রা কম থাকায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, যেহেতু আগে থেকে তাপমাত্রার বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি। সেকারনে বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আজ সোমবার আবহাওয়া অফিসের সাথে কথা বলে আগামী ক’দিনের তাপমাত্রার খবর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক জানান, সোমবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। গত দুদিনে ৩ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
