আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে দেহরক্ষীসহ সাবেক এক নারী এমপিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) ভোরে দেশটির রাজধানী কাবুলে এ ঘটনা ঘটে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আলজাজিরার তথ্যমতে, সাবেক এমপি মুরসাল নাবিজাদা (৩২) ও তার এক দেহরক্ষীকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়। হামলায় নাবিজাদার ভাই ও দ্বিতীয় দেহরক্ষী আহত হয়েছেন। তবে, কী কারণে তাদের হত্যা বা কারা হত্যা করেছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিহত মুরসাল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সরকারের পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবানের হাতে ওই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। যদিও মুরসাল আফগানিস্তানের কয়েকজন নারী সংসদ সদস্যদের মধ্যে একজন যারা তালেবানের ক্ষমতা দখলের পরও কাবুলে থেকে গিয়েছিলেন।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান রোববার বলেছেন, ‘মুরসাল এবং তার এক দেহরক্ষীকে তার বাড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’
স্থানীয় পুলিশ প্রধান মৌলভি হামিদুল্লাহ খালিদ জানান, গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে মুরসালকে গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুরসালের ভাই ও দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন এবং তৃতীয় নিরাপত্তারক্ষী টাকা-গয়না নিয়ে পালিয়ে গেছে। খালিদ অবশ্য এ ঘটনার পেছনে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেননি।
মুরসালকে ‘জনগণের প্রতিনিধি এবং সেবক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আফগানিস্তানের পশ্চিমা-সমর্থিত সাবেক সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ। তার আশা, অপরাধীদের শাস্তি হবে।
মুরসাল ২০১৯ সালে কাবুলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং বেসরকারি গোষ্ঠী মানব সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেছিলেন।
দেশটির সাবেক এমপি মরিয়ম সোলাইমানখিল টুইটারে বলেছেন, মুরসাল ছিলেন ‘আফগানিস্তানের জন্য নির্ভীক চ্যাম্পিয়ন।’ তিনি লিখেছেন, ‘আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি (মুরসাল) তার জনগণের জন্য থাকার এবং লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’