কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : জয়পুরহাটে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে খরিপ-২, ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে বোরো চাষের জন্য ৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানী য় কৃষি বিভাগ। স্থানীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৩-২০২৪ রবি ফসল চাষ মৌসুমে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে ৬৯ হাজার ৭ শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
বোরো চাষ সফল করতে জেলার কৃষকরা বর্তমানে বোরো বীজতলা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছেন কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে। এবার বোরো চাষের জন্য ৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ২৭০ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে ১৫০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায়, কৃষি বিভাগ। জেলায় এবার ৬৯ হাজার ৭ শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬২ হাজার ৯ শ ৯০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৬ হাজার ৭ ৩৫ হেক্টর জমি। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ মে.টন। গত বছর ৬৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল। খবর বাসস।
জেলায় বোরো ধান চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সারের চাহিদা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ২১ হাজার ৭শ ২০ মে. টন, টিএসপি ১৭ হাজার ৪শ মে. টন, এমওপি ৯ হাজার ৫শ ৭৬ মে. টন, জিপসাম ৯ হাজার মে. টন ও জিংক সার ৭শ ৯২ মে. টন।
বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। স্থানীয় ব্যাংক বিশেষ করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বোরোসহ অন্যান্য শীতকালীন ফসল চাষের কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণের ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে বলে সূত্রটি বাসস’কে জানায়।
জেলায় বোরো চাষ সফল করতে কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বাসস’কে জানান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। খবর বাসস।