শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা থানা পুলিশের এসআই মামুনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারনার মামলায় ওয়ারেন্টের প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তার না করে এক একই নামের এক নীরিহ নারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী রুহী আকতার স্মৃতি নামের ওই নারী মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সাথে অভিযোগ করেন। তিনদিন বিনা অপরাধে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কারনে তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে।
তালা উপজেলার বারুহাটি গ্রামের আরিফুল ইসলাম মালীর স্ত্রী ভুক্ত ভোগী রুহী আকতার স্মৃতি জানান, চেক প্রতরণার একটি মামলায় গত ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় তিনি তার বাড়িতে ভাত খাওয়ার অবস্থায় তালা থানার এসআই মামুন তাকে ধরে নিয়ে যান। এ সময় তিনি এসআই মামুনের কাছে তাকে গ্রেপ্তারের ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চাইলে এসআই মামুন সংশ্লিষ্ট কাগজ না দেখিয়ে বারুহাটি গ্রামের পুলিশের দালাল শামিম খানের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় প্রেরণ করেন।
নীরিহ স্মৃতি আরো জানান, তার তিন বছরের বাচ্চাকে রেখে তাকে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে৷
ভুক্তভোগী স্মৃতির শশুর আব্দুল কাদের মালী জানান, বিনাঅপরাধে গ্রেপ্তারকৃত রুহী আকতার স্মৃতির স্বামীর নাম আরিফুল ইসলাম মালী, বাবার নাম শহর আলী ও মায়ের নাম হালিমা বেগম, গ্রাম বারুইহাটি, তালা।
অপরদিকে, এ মামলার মূল আসামী সুমী আক্তারের স্বামীর নাম আরিফুল ইসলাম বিশ্বাস, মায়ের নাম সালমা বেগম, ঠিকানা একই।
তিনি আরও বলেন, এসআই মামুন তাদের প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে দালাল শামিম খানের সহযোগিতায় স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রুহী আকতার স্মৃতির স্মজনরা সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৩ এ তার জামিন ধরলে আদালতের বিচারক তাকে জামিন দেন। এরপর জামিন নিয়ে তাকে জেলখানা থেকে বের করার পর রাতে মামলার কাগজপত্র নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসেন।
মামলার বাদি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন তালা উপজেলা শাখার ম্যানেজার সৈয়দ ইমারন আলী (চলতি দায়ীত্বে) বলেন, আমি মাত্র এক মাস আগে এই শাখায় যোগদান করেছি। কাগজপত্র না দেখে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তালা থানার এসআই মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনে তার নাম সুমি জেনেই তাকেগ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ভুক্তভোগির প্রতিপক্ষ কর্তৃক প্রলুব্ধ হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি তা অস্বীকার করেন।
তালা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সেলিম মোল্লা জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।