সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করছেন প্রেমিকা। দু’দিন আগে প্রেমিক চাকরির জন্য পারি জমিয়েছেন বিদেশে। ঘটনাটি সোমবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ব্রহ্মকপালিয়া গ্রামে।
ব্রহ্মকপালিয়া গ্রামের শিক্ষক গোলাম মওলা জানান, তার গ্রামের আলহাজ উদ্দিনের ছেলে সবুজ মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভুতগাছা গ্রামের ফরমান আলীর মেয়ে মাহিমা সুলতানার দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
মাহিমা ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। অপর দিকে সবুজ মিয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে আর লেখাপড়া করেনি। মেয়ের বাবা ফরমান আলী বর্তমানে জেলে আসেন।
এদের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে উভয়ের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু দুদিন আগে প্রেমিক সবুজ মিয়া চাকরির জন্য সৌদি আরব চলে যায়। ঢাকা বিমান বন্দরে বিমানে ওঠার আগে সবুজ মাহিমাকে ফোন দিয়ে জানান তিনি বিদেশে চলে যাচ্ছেন। ফিরে এসে তাকে বিয়ে করবেন। এই সময় পর্যন্ত মাহিমাকে অপেক্ষা করতে হবে বলে ফোন কেটে দেন। এরপর বিয়ের বিষয়টি অনিশ্চিত জেনে মাহিমা সোমবর দুপুরের দিকে ব্রহ্মকপালিয়া গ্রামের সবুজ মিয়াদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষনা দিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন।’
প্রেমিকা মাহিমা সুলতানা জানায়, সবুজ তাকে ফাঁকি দিয়ে বিদেশে চলে গেছে। বিমান বন্দর থেকে তাকে ফোন দিয়ে সবুজ শুধু নিজের কথা বলেছে। মাহিমাকে কোন কথা বলার সুযোগ দেয়নি। কাজেই তাদের মধ্যে ঠিক থাকা বিয়ের বিষয়টি সে এখন অনিশ্চিত মনে করছেন তিনি। তাই যেকোন উপায়ে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন না।
সবুজের বাবা আলহাজ উদ্দিন জানান, আসলে তার ছেলের সঙ্গে মাহিমার প্রেম ভালোবাসা আছে কিনা তিনি জানেন না। তবে ছেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে যদি এই ঘটনা ঠিক হয় তিনি তাদের বিয়ের ব্যাপারে সম্মত হবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়ের মা জানান, তার স্বামী জেলে আছেন। এ বিষয়ে তিনি এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারবেন না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলে এবং মেয়ের অভিভাবকের পক্ষ থেকে তাকে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। তাকে বলা হলে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।’