কর্পোরেট ডেস্ক: শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ সিজন ১ এর বেভারেজ পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এ.সি.আই. ও ড্যানিশ কোম্পানি কো-রো-এর যৌথ উদ্যোগ ‘এ.সি.আই. কো-রো’-এর জুস ব্র্যান্ড ‘সানকুইক’। এছাড়া, শো-এর টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে রবি, পাওয়ারড বাই স্পন্সর স্টার্টআপ বাংলাদেশ, ব্যাংকিং পার্টনার প্রাইম ব্যাংক, স্ন্যাকস পার্টনার অলিম্পিক ফুডি ইনস্ট্যান্ট নুডুলস এবং ব্রডকাস্টিং পার্টনার হিসেবে থাকছে দীপ্ত টিভি।
সম্প্রতি, বঙ্গ-এর চীফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মামুন আতিক এবং এ.সি.আই. কো-রো বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিলস রনো স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ সিজন ১ এ দেশিয় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ইউনিক বিজনেস আইডিয়া ‘শার্ক’, অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করবে। কোন আইডিয়া পছন্দ হলে ‘শার্ক’রা নগদ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে চুক্তি করবেন। উদ্যোক্তারা কোন নতুন পণ্যের প্রোটোটাইপ বা বাজারে বিদ্যমান পণ্য, পরিষেবা, কিংবা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিকাশের লক্ষ্যে তাদের আইডিয়ার মাধ্যমে ৫ জন ‘শার্ক’-কে বিনিয়োগের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের সুযোগ পাবেন। উদ্যোক্তারা শুধুমাত্র বিনিয়োগ নিয়ে নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধিই নয়, বরং লক্ষ লক্ষ দর্শকের কাছে নিজ প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরে ভবিষ্যতে আরও উদ্যোক্তাদের শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার সুযোগ পাবেন।
এ.সি.আই. কো-রো বাংলাদেশ লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিলস রনো বলেন, “বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে এমন একটি উদ্যোগের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা দেশের সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। তাই এমন একটি উদ্যোগের উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।”
এ.সি.আই. কো-রো বাংলাদেশ লিমিটেড-এর কান্ট্রি মার্কেটিং ম্যানেজার ইবনে আবু জায়েদ বলেন, “এটি কেবলমাত্র একটি অংশীদারিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের ইউনিক আইডিয়ার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিরও প্রমাণস্বরূপ। সানকুইক-এর রিফ্রেশিং স্বাদের সাথে উদ্যোক্তাদের মনোবলের এই সংমিশ্রণ দারুণ কিছু বয়ে আনবে বলে আমরা আশাবাদী।”
বঙ্গ-এর চীফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মামুন আতিক বলেন, “বাংলাদেশে সানকুইক তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ-এ সানকুইক-কে বেভারেজ পার্টনার হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের অন্যান্য এফএমসিজি ব্র্যান্ডকেও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।”
‘শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ’-এ উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ইউনিক বিজনেস আইডিয়া বিনিয়োগকারী বা শার্কদের সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে। শার্কদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা প্রতিযোগীদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক কিনা। এর মাধ্যমে প্রতিযোগীরা শার্কদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনিয়োগ গ্রহণ করে তাদের বিজনেস আইডিয়া কিংবা প্রতিষ্ঠানিক বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণ সুযোগ পাবেন। যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিযোগীদের আইডিয়া কিংবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজারকে কেন্দ্র করে তারাও ঢাকায় এসে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এটি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ, যা শুধুমাত্র মূলধন বাড়ানোই নয়, বরং দেশব্যাপি নিজ প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরতেও সাহায্য করবে। বিজনেস আইডিয়ার আদলে বানানো এই রিয়েলিটি শো দেশিয় উদ্যোক্তাদের জীবন পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করবে।