নিজস্ব প্রতিবেদক: ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক (এফআরসি) তালিকাভুক্ত অডিটরের তালিকা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩) ফেমস এন্ড আর সিএ ফার্মের পার্টনার আবু শরীফ মন্জুরুল হক এফসিএ’র রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
জানা গেছে, ০৭/০৯/২০২৩ তারিখে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল ১৪৫ জন চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টসকে এফআরসি এর তালিকাভুক্ত অডিটর হিসাবে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ১৯/১২/২০২৩ তারিখে আগের তালিকা সংশোধন করে ১৬৯ জনের নতুন তালিকা প্রকাশ করে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)।
এতে করে ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর তালিকাভুক্ত প্রায় দুই শতাধিক সিএ ফার্ম এফআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ে। তাদেরই একজন ফেমস এন্ড আর সিএ ফার্মের পার্টনার আবু শরীফ মন্জুরুল হক এফসিএ।
আবু শরীফ বিক্ষুব্ধ হয়ে সংবিধানের ১০২(২) ধারায় উচ্চ আদালতের বিচারক নাইমা হায়দার ও বিচারক কাজি জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নম্বর-১৬৩১২/২০২৩।
পরবর্তীতে ওই রিটের উপর পিটিশনার আবু শরীফ মন্জুরুল হক এফসিএ’র পক্ষে উচ্চ আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট ফিদা এম কামাল ও এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া এফসিএস।
রাষ্ট্র পক্ষে শুনানিতে বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত, এসিসটেন্ট অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন মাসুদ, মো: তৌফিক সাজায়ার পার্থ ও রাশেদুল ইসলাম।
পিটিশনারের পক্ষে দুইজন আইনজীবির জোড়ালো আর্গুমেন্টের কাছে রাষ্ট্র পক্ষের ৪ জন কৌশুলি এক প্রকার দাঁড়াতেই পারেননি। তারা রিটের বিপক্ষে কোন যুক্তি তর্কই নিজেদের পক্ষে অবস্থান দেখাতে পারেননি। পক্ষান্তরে পিটিশনারের পক্ষে আইনজীবি ফিদা এম কামাল এবং চার্টার্ড সেক্রেটারি ও আইনজীবি গোলাম কিবরিয়ার যৌক্তিক আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ১৭/১২/২০২৩ তারিখে এফআরসি তালিকাভুক্ত ১৬৯ অডিটরের তালিকা পরবর্তী ৬ মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন।
উচ্চ আদালত ৬ মাসের স্থগিত আদেশের সাথে ৪ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) এর বিরুদ্ধে রুল জারি করেন যে, কেন এফআরসিতে পিটিশনার আবু শরীফ মন্জুরুল হক এফসিএ এর নাম তালিকাভুক্ত করা হবে না তার কারণ ৪ সপ্তাহের মধ্যে দর্শাতে বলা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশের কারণে আগামী ৬ মাস ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক (এফআরসি) প্রকাশিত ১৬৯ জন অডিটরের তালিকা স্থগিত থাকবে এবং পরবর্তীতে রুল নিষ্পত্তির সাপেক্ষে এফএরসি এর নির্দেশনা কার্যকর হবে। ফলে কার্যত তাদের ক্ষমতা হারালো এফএরসি এবং আইসিএবি অধিভুক্ত অডিটরা ফিরে পেলেন তাদের হারানো মর্যাদা।