নিজস্ব প্রতিনিধি: গত তিনদিন ধরে পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের এ জেলা। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে (৮-১০ ডিগ্রি) সে অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হয়। রোববারের চেয়ে সোমবার পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর একই সময়ে গত শনিবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরে পঞ্চগড়ে ভোরে রোদ উঠলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ফলে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণ করছেন। প্রচন্ড শীতের মধ্যেই কাজ করছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবীরা।
মৃদু শৈতপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগে পঞ্চগড়ের জনজীবন। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পারদ কমছে শীতের শুরু থেকেই। গেলো ৪ দিন জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসে।
এদিকে শীতে ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্থ চুয়াডাঙ্গার মানুষ। উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষ ও দিনমজুরা দারুন কষ্টে আছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে সরকারি পর্যায়ে ১৭ হাজার ৬৫০ পিস কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে কুয়াশার কারণে বিভিন্ন জেলায় ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে।