খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা আরও দুজনকে ধরে নিয়ে গেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে একটি বাড়িতে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
ইউপিডিএফ ঘটনার দাবি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের মধ্যে রয়েছেন- ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
এ ছাড়াও ইউপিডিএফ নেতা হরি কমল ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন।
ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা অভিযোগ করেন, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) পানছড়ির পুজগাংয়ের অনীলপাড়ায় সাংগঠনিক কাজে অবস্থানের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুবফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রহিনশা ত্রিপুরা নিহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা ২ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন অংগ্য মারমা।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। মদদপুষ্ট নব্যমুখোশধারী গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে জেলার পানছড়ি উপজেলার পুজগাং এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিশ্চিত হওয়ার পর সঠিক তথ্য জানানো হবে।