কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সোমবার মনোনয়নপত্র নেন সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে সৈয়দ এ. কে একরামুজ্জামানের নামে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নেয়া হয়েছে। আর শাহ মো: আবু জাফর বিএনএমে যোগদান করেছেন, বর্তমানে তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন। তিনিও নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
একরামুজ্জামান ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র এবং ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ব্রাক্ষনবাড়ীয়া-১ আসনে নির্বাচন করেন। কোনোবারই তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি।
শাহ মো. আবু জাফর ১৯৭৯ সালে ফরিদপুর-৪ আসন নৌকা প্রতীকে ’৮৬ ও ‘৮৮ সালে লাঙ্গল প্রতীকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ হন। জাতীয় পার্টি থেকে ২০০৩ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ২০০৫ সালে উপনির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে সাংসদ হন তিনি।
শাহ মো. আবু জাফর গত ২১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের নতুন নিবন্ধন পাওয়া বিএনএম (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) দলের যোগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনে রয়েছে। এজন্য দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচনে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছি দলটি।