নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এসব বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান তিনি। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ রংপুরের ৩৩টির, রাজশাহীতে ৩৬টিসহ মোট ৬৯টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ার পর্যন্ত ফল প্রকাশ করব না। আমরা একসঙ্গে আমাদের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল দশটা পর্যন্ত মনোনয়ন বোর্ডের সভা মুলতবি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৫ নভেম্বরের আগেই দলীয় প্রার্থীদের নামের চূড়ান্ত তালিকা দেয়া হবে। একসাথে সব প্রার্থীর নাম অনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এবার বেশ কয়েকজন বর্তমান সংসদ সদস্য বাদ পড়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবার রাজনীতির বাইরে আজকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। জনগণের কাছে যাদের জনপ্রিয়তা আছে, গুরুত্ব আছে তাঁদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে আমরা দেখি কারা বিদ্রোহী হয়, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। জোট হবে বিভিন্নভাবে, কার সঙ্গে কার জোট হবে, কোথায় গিয়ে ঠেকবে বলা মুশকিল। জোট হতেও পারে নির্বাচনের আগে, সময় আছে। কাজেই তালিকাও আসতে পারে।
এর আগে, মনোনয়ন বোর্ড সভায় স্বাগত বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাটি ও মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা, যে দরদ সেটা আমাদের থেকে বেশি কারও থাকতে পারে না। আমার মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। আমরা ভোট ও ভাতের আন্দোলন করেছি, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর উত্তরবঙ্গে কেউ আর মঙ্গা দেখেনি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা দরকার আমরা সেগুলো করেছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে তারা প্রায় ৮২টি সংশোধনী করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসক সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো অফিসার বদলি করা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি, এগুলো নির্বাচন কমিশনারের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। যদি নির্বাচন কমিশন চায় তখন সেটা পরিবর্তন করা যায়, তা ছাড়া করা যাবে না।