অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম কমছেই। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর বিপরীতে ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে মার্কিন মুদ্রার মূল্য। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, ইউএস মূল্যস্ফীতি কমেছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদের হার কমাতে পারে। ফলে ডলারের দরপতন ঘটছে।
মূল আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিরুদ্ধে ব্যাপক শক্তিশালী হয়েছে জাপানি ইয়েন। গত ৬ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এক প্রতিবেদনে তা জানিয়েছে ব্যাংক অব জাপান (বিওজে)।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) কমেছে ০.১ শতাংশ। এ নিয়ে ২০২০ সালের মে মাসের পর প্রথমবারের মতো তা কমলো।
সিপিআই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইউরোর বিপক্ষে ডলারের দর নিম্নমুখী হয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। প্রতি ইউরোর মূল্য স্থির হয়েছে ১.০৮৪৫ ডলারে। গত ২১ এপ্রিলের পর যা সর্বনিম্ন।
ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলারের দাম হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। পাউন্ডপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১.২২১৯৫ ডলারে।
গ্রিনব্যাক সূচক ০.৮১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০২.২০ পয়েন্টে। গত ৬ জুনের পর যা সবচেয়ে কম।
জাপানি ইয়েনের বিরুদ্ধে ২ দশমিক ৭ শতাংশ শক্তি হারিয়েছে ডলার। গত ৬ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক কম। এক ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৯.৩৫ ইয়েনে।
চীনের অফশোরে ইউয়ানের বিপরীতে ডলারের মূল্যমানও কমেছে। প্রতি ডলার বিকিয়েছে ৬.৭৩৩১ ইউয়ানে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।