কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার দুই ভাইসহ ৩ জনকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
অপর দুজন হলেন- এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান। দুর্নীতির মামলায় এরা সকলেই পলাতক।
এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবিল হক পলাতক এই আসামিদের গ্রেফতারে নোটিশ জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজস করে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান এএম ট্রেডিংয়ের নামে ঋণ প্রস্তাব ও তা অনুমোদনের ব্যবস্থা করে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। সেই টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে স্থানান্তর/রূপান্তর করে ৩৪০ কোটি টাকা এস আলম সুপার ওয়েল লিমিটেড এর সরিয়ে নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর আওতায় অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা বাংলাদেশ থেকে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করার জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে এক লাখ কোটি টাকার বেশি তুলে নেয় গ্রুপটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায় গ্রুপটি। এসব ঋণ এখন এক এক করে খেলাপি হতে শুরু করেছে। এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় নিলামে উঠছে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়েছে ইসলামী ব্যাংক।
চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলের পর গ্রুপটি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক দখল করে নেয়। তবে সব মিলিয়ে তারা একসঙ্গে ৮টি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়।


