বিনোদন ডেস্ক: কিংবদন্তি লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরী জানান, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেয়া হয়। সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত নেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। নিয়মিত চলছে কিডনি ডায়ালাইসিসও। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। জুলাইয়েও দুই সপ্তাহ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার অবস্থা এতটাই নাজুক যে, তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিল্পীর রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে এবং সংক্রমণ বেড়েছে। কিডনির জটিলতাও গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে শিল্পীর স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম বলেছিলেন, সার্বিকভাবে ফরিদা পারভীনের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গত কয়েক মাসে তাকে চারবার আইসিইউতে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ফুসফুস ও কিডনিজনিত নানা সমস্যায় তিনি ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান দিয়ে সংগীতজীবন শুরু করলেও পরে সম্পূর্ণভাবে লালনগীতিতে মনোনিবেশ করেন ফরিদা পারভীন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি লালনের গানকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারেও ভূষিত হন। চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি ১৯৯৩ সালে সেরা প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন:
৯৮তম অস্কারের জন্য বাংলাদেশি সিনেমা আহ্বান
দেশে থাকলে আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো: আহমেদ শরীফ
৬ মাস আওয়ামী লী ৬ মাস বিএনপি, দিদি কিন্তু দেখিয়ে দিলেন: পরীমণি


