মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না।। বিএনপি আগের মতো অগ্নি সন্ত্রাসে লিপ্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা একেএম শামীম ওসমান। বিএনপি ২০১৩ সালে যেভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছিলো, তারা আবার সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাচ্ছে। তবে, এবার তারা সেটা করতে পারবে না।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা দেখলাম ২৮ তারিখে একটি পুলিশকে হত্যা করা হলো। এটা কেমন বাংলাদেশ। আমাদের মহিলাদের মিছিলে হামলা করা হলো, অনেকের গায়ের কাপড় খুলে ফেলা হলো। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। সাংবাদিকরা খবর প্রচার করতে গিয়ে ২৮ তারিখে যেভাবে হামলার শিকার হলো, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, তারা লন্ডন থেকে বসে মানুষকে উস্কাচ্ছে। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন না। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন কোন শক্তিকে ক্ষমতায় আনা, যারা দেশের স্বার্থ অন্যের কাছে বিলীন করে দিবে। তবে, জাতির পিতার কন্যা শেষ হাসিনা থাকা অবস্থায় তাদের সেই কাজ সফল হবে না। সঠিক সময় মতো নির্বাচন হবে। অনুরোধ করবো বিএনপির ওই সমস্ত নেতাদেরকে, যারা ছোট ছোট বাচ্চাদের মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে এ সকল ধ্বংসাত্মক কাজ গুলো করাচ্ছেন; এ ধরণের নাশকতার যে আইন তাতে তাদের ভবিষ্যতে কিন্তু বড় ধরনের সমস্যা হবে। তখন এই নেতারা কিন্তু ওদের পাশে থাকবেন না।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আমরা চাই না কোন বাসে আগুন লাগুক, কারো ব্যাক্তিগত সম্পদে আঘাত কার হোক। মানুষ তার ইচ্ছে হলে অবরোধ করবে, গাড়ি চালাবে না; আমরাও বলবো না গাড়ি চালাতে। তবে, তারা কি করছে আগুন দিয়ে দিচ্ছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব নারায়ণগঞ্জে এসে ৭-৮জন নিয়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালাচ্ছে। এতেই বুঝা যায়, তাদের রাজনীতিটা এখন কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। রজনীতি করার সাহস থাকলে রাস্তায় এসে করুন, গ্রেপ্তার হলে হন। আমরাও তো হয়েছি গ্রেপ্তার। এমন কোন জায়গা নাই যেখানে আমরা মার খাইনি। এক দিনে উনপঞ্চাশটা মামলাও খেয়েছি। তবে, এরকম ধ্বংসাত্মক কাজ তো আমরা করিনি। এ ধরনের শক্তি কখনো আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সাথে পারবে না।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ও তার কন্যার মধ্যে কিছুটা পর্থক্য রয়েছে। জাতির পিতা সবাইকে বিশ্বাস করেছিলেন। আর তার কন্যা বিশ্বাস ঘাতকদের চিনে রেখেছেন। তাই আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিচ্ছু করতে পারবেন না। ঢাকার ওই সমাবেশে এত মানুষ হয়েছে যে, আমাকে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ভেতর পর্যন্ত যেতে হয়েছে। আর ওই উপস্থিতি প্রমান করে, মানুষ বিএনপির প্রতি সমর্থন নাই। তারা পশুর থেকেও অধম হয়ে গেছে। তা না হলে মৃত মানুষকে কোপায় কেমনে।
শামীম ওসমান বলেন, জামাতরা তো তারাই, যারা ১৯৭১ সালে আমার মা বোনেদের সম্ভ্রম নিয়েছিলো। এরাই এখন মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। আমরা এখন পর্যন্ত ধৈর্য ধরছি, কারণ আমাদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। যারা নারায়ণগঞ্জে অশান্তি সৃষ্টি করছেন, তারা এগুলো কইরেন না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ তো জানে আপনাদের বাড়ি-ঘর কোথায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোথায়। জনগন যদি ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা শুরু করে, আপনাদের কে রক্ষা করবে। তখন তো পুলিশের কাছে দৌড়াবেন আপনারা, যে পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছেন।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।#
মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না ।