মোঃ শরিফ উদ্দিন বাবু, শেরপুর প্রতিনিধি: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর সদরের কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
শনিবার (১ মার্চ) সকালে শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ মো. হজরত আলী ও সদস্যসচিব মো. ফরহাদ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানকে দলীয় পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস জাকারিয়া বাদলকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোহাগ এবং রাহুল নামের বিএনপির তুই কর্মী আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জাকারিয়া বাদলের স্বজন ও ছাত্রদল কর্মী রমজান আলী জানান, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সাথে সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া বাদলের দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার তাদের ওপর হামলা চালায় লুৎফরের অনুসারীরা। এসময় বাদলসহ ৩ জনকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় তারা।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বাদল ও সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতে অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেলে সংকটাপন্ন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বাদলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। পরে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তরা এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে বাদলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে লুৎফর রহমান ও তার অনুসারীরা পলাতক রয়েছেন।
