নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। সকাল ৭টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর সেখানে সমবেত হয়ে সমাবেশ করছেন তারা।
লংমার্চের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দিল্লির সাম্প্রদায়িক শাসকেরা শুনুন! আপনারা লেডি ফারাওকে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় রাখতে সমর্থন দিয়েছেন। আজ ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমালোচনার সম্মুখীন। ভারত চায় না বাংলাদেশ তার জনগণের ইচ্ছায় চলুক।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়াপল্টন থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠেবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরবে পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা হবে। লংমার্চ চলাকালে ভৈরব ও আখাউড়া স্থলবন্দরে হবে সমাপনী সমাবেশ।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি ভারতের নানা ষড়যন্ত্র এবং উস্কানির বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।
লংমার্চ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনগুলো। শত শত গাড়ি, খোলা ট্রাক আর মোটরসাইকেলে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মী আর সমর্থকরা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ ছাড়া পথে পথে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিটের নেতাকর্মীরা এই বহরে যোগ দেবেন।
এজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে দেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া সাধারণ ছাত্র-যুবরাও কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন বলে জানা গেছে। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডে ফুটিয়ে তোলা হবে ভারতের বিভিন্ন অপতৎপরতার বিষয়।
এর আগে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিল্লির অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করেছে বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। রামপুরায় পর্যন্ত যাওয়ার পর পুলিশ অনুরোধ জানালে পদযাত্রা শেষ করে হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেন নেতারা।
‘আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, কলকাতায় জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং উস্কানিমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে’ এই লংমার্চ আয়োজন করা হয়েছে।