উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাগমারা বি.এস স্কুল এন্ড কলেজে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী। উপ-পরিচালক গত ২৪ অক্টোবরে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসারকে একটি পত্র দেন। মাস পেরিয়ে গেলও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম তদন্তের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
অভিযোগকারী নাঈমা পারভীন এর অভিযোগ আঞ্চলিক অফিসের প্রেরিত পত্রের আদেশ উপেক্ষা করে জেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত কার্যক্রম শুরু করছেন না। তিনি আশঙ্কা করছেন তদন্ত না করেই পক্ষপাতিত্ত্ব করে প্রতিবেদন প্রেরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে চলছে নানা তালবাহানা।
বাগমারা বি.এস স্কুল এন্ড কলেজের চাকুরী প্রার্থী অভিযোগকারী মোছাঃ নাঈমা পারভীন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, কলেজে কর্মচারী নিয়োগে আমি একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করি। আমার আবেদন পত্রটি কলেজ কতৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে গ্রহন করেন। কলেজে নিয়োগকালীন সময়ে তানভীর ইমাম এমপি’র আজ্ঞাবাহ গর্ভনিং বডির সভাপতি মো.হাফিজুর রহমান নানা তালবাহানা ও কেলেংকারী করে ল্যাব সহকারী ও আয়া পদে তার পছন্দের দুই প্রার্থীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন। এই অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলার কপি, অবৈধ নিয়োগের নানা তথ্য উপাত্ত ও দালিলিক প্রমাণাদি সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর ওই অবৈধ নিয়োগকৃতদের বিরুদ্ধে বেতন ভাতা বন্ধ ও নিয়োগ বাতিল চেয়ে অভিযোগ দায়ের করি। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও এখনো দেখেনি আলোর মুখ। এ নিয়ে চলছে নানা তালবাহানা।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজাউল করিম জানান, এ বিষয়ে আমার কার্যালয়ের একজন শিক্ষা পরিদর্শক রবিউল হাসানকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।