তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের প্রস্তাবিত কমিটির ১৯৯৪ -১৯৯৮ প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃতি সন্তান নবারুণ দাস রিপন। নবারুণ দাস রিপন এর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা লগ্নে থেকে কিছু বিষয় তুলে ধরেন তিনি ।
তিনি বলেন ‘১৯৯৮ ইং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।২০০২ – ২০০৬ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৬ সালের ৩১ জানুয়ারিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হলের ট্রেজেডি মামলার আসামি হয়ে কারাবরণ করতে হয়। ২০০১ বিএনপি জামাত সরকারের আমলে জগন্নাথ হলে ১৩ নভেম্বর ছাত্রদলের রোষানলে পড়ে মামলার আসামি হই। পরে ৫ টি বছর বিএনপি জামাত সরকারের আমলে বিভিন্ন পর্যায়ের রোষানলে কোনঠাসা হয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়।’
২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। যুক্তরাজ্য প্রবাস জীবনের শত ব্যস্ততা মধ্যেও দেশপ্রেম ও দলকে ভুলে যাননি। লন্ডন নিউহ্যাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব নিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে ও পালন করেন। দীর্ঘ সময় প্রবাস জীবন যুক্তরাজ্যের মত দেশের বিলাশ বহুল জীবন যাপন ত্যাগ করে ১৫ বছর পর দেশ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে আবারও ফিরে আসেন। দেশ ও রাজনৈতিক যখন ক্রান্তিকালে চলছে তখনি দেশের ও দলের স্বার্থে নিজেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক কমিটিতে স্থান করে নেন এই সাবেক ছাত্রনেতা।
আওয়ামী লীগের ও জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে সক্রিয় হতে এ স্থানে পদায়ন করা হয়। তার আগামীর ভাবনা চিন্তার মধ্যে তিনি কিছু বিষয় তুলে ধরে বলেন, তার আগামীর সম্ভাবনারয়, দিন গুলো দেশে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রেখে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ এর মানুষের পাশে থেকে দুঃখে সুখে ভাগ নিতে চান। জননেত্রী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সে যেই হোক তার পাশে থেকে আগামী দিনেও নৌকায় জয়ধ্বনির সাথে তাল মিলিয়ে সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা আশা ব্যক্ত করেন নবারুণ দাস রিপন।
তিনি বিশ্বাস করেন, স্মার্ট ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্মার্ট ও যোগ্য ব্যক্তিকেই নৌকা প্রতিক তুলে দিবেন। প্রশ্নের এক উত্তরে বলেন আমাকে যোগ্য মনে হলে আমি নির্বাচনে অংশ নিবো তবে আওয়ামী লীগ তার প্রানের সংঘটন রাজনীতি শুরু থেকে ক্রান্তিলগ্নে ছেলে যাইনি শ্বাস প্রশ্বাস যতদিন আওয়ামী লীগের সাথে ততদিন। আওয়ামীলীগ ও নৌকার মাঝি যেই হোক সব সময় তার পাশেই আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দেশ জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবেন।
কর্পোরেট সংবাদ/এএইচ