সাইফুল ইসলাম তানভীর, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বিশাল কর্মী সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর এই প্রথম সিংগাইর উপজেলা চত্বরে এতো বড় কর্মী সমাবেশ করেছে দলটি।
সিংগাইর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ও সিংগাইর উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ঢাকা উত্তরাঞ্চলের টিম সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলার সাবেক আমীর মাওলানা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন -মানিকগঞ্জ জেলা আমীর হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ জাহিদুর রহমান।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ২০শে জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারে শহীদ সাদ মাহমুদের বাবা মোঃ বাহাদুর খান। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে শহীদ সাদ মাহমুদের বাবা বলেন, অবশ্যই আমার সন্তানসহ শত শত সন্তানের খুনি, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে। কোন ভাবেই তাদের ছাড় দেয়া যাবে না। শহীদ পরিবারের হক আছে বিচার পাবার।
জামায়াত নেতা মুহাম্মদ উল্লাহ্ ও মুহিবুল্লাহ্ মুহিবের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সাবেক সভাপতি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক কাদের, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যড, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী হাফেজ আবুল কালাম আযাদ, প্রফেসর মুহাম্মামদ আনোয়ার উল্লাহ্, পৌর আমীর হুমায়ুন কবীর, আঃ মালেক, উপজেলার সাধারন সম্পাদক মুহাম্মামদ আবু জিহাদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ্, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক অ্যাড, সালাহ উদ্দিন, শিবিরের জেলা সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন, সিংগাইর উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই জুলাই-আগস্টের স্বাধীনতা স্বার্থক করতে হলে আমাদের অবশ্যই একটি বৈষম্যহীন, সন্ত্রাসমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, প্রশান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কোন ভাবেই এ দেশে আর কোন স্বৈরাচারকে, কোন তাবেদার, কোন ভোটচোরকে স্থান দেয়া হবে। আমাদের দেশের ছাত্র-আপামর জনগন সম্মিলিত ভাবে যে ভাবে স্বৈরাচার হটিয়ে দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছে, আমরা ঠিক সেই ভাবেই সবাই মিলে প্রাণের বাংলাদেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলবো। দেশ প্রেমিক জনগন এ পবিত্র মাটিতে আল্লাহর কালেমার পতাকার বিজয় দেখতে চায়।
তারা বলেন, পতিত স্বৈরাচারের অভিভাবক ভারত ও তাদের এদেশের দোসররা নিয়মিত ভাবেই যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এবং তাদের যড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে। আমাদের সদা সর্তক থাকতে হবে। আগামীর সংসদ হবে কোরআনের সংসদ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ।
তারা বলেন, ২০১৩ সালে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতা সহ ৪ জনকে গুলি করে হত্যার বিচার করতে হবে। সে সময় শাহ্ আলম, মাওলানা নাসির উদ্দিন, মোঃ নাজির উদ্দিন ও আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয়।
কর্মী সমাবেশের আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ হতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিংগাইরে সাদ মাহমুদের বাবা বাহাদুর খান ও শহীদ তুহিন আহম্মেদের স্ত্রী রিয়ার হাতে দুই লক্ষ করে নগদ টাকা সহযোগিতা প্রদান করেন।