নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নির্যাতিত শিশুর পিতা অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আসাদুজ্জামান বরাবর লিখিত আবেদন জানান।
এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর ৭জনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৩/১৯৮।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী শিশুর পিতা অভিযোগ করে বলেন, মামলার ৭ আসামি ও কোটবাড়িয়া আল ফালাইয়্যা মাদরাসার কিছু শিক্ষক মাদরাসায় পড়ুয়া শিশু-কিশোরদেরকে গত ৩ বছর যাবৎ অপহরণ, শরীরে চেতনানাশক ইঞ্জেকশন পুশ করা, মাদক সেবন করানো, বাচ্চাদের শরীর থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ব্লাড নেওয়া, বাচ্চাদেরকে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করে। এরপর তাদের ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে বাচ্চাদেরকে মাদক পাচারের জন্য পাঠানো হয়। শিশু বাচ্চারা তাদের কথা না শুনলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি প্রদান করাসহ শিশু শিক্ষার্থীদেরকে গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মাদরাসার অন্যান্য ছাত্রদেরসহ ভিকটিমকে (১০) আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অপহরণ, গণধর্ষণ, নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন, নেশা জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে গণধর্ষণ করে। ভিকটিম জ্ঞান ফিরলে প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকির ধমক দেয়। মামলার ৭ জন আসামির মধ্যে ২ জন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে জামিনে এসে ১ জন আসামি বিদেশ চলে যায়। উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ৫নং আসামি রাজুসহ এজাহার নামীয় পলাতক আসামি জোবাইয়ের হোসেন ফরহাদ (২৪) আবু ওয়ায়েদা অনিক (২৫) মো.রনি (২৩) বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা অভিযোগ করে আরও বলেন, চৌকিদার বাড়ির মো. স্বপনের (৪০) বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শতবার নালিশ করা সত্ত্বেও তার নাম মামলার এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ভিকটিম ২২ ধারায় জবানবন্দিতে তার নাম উল্লেখ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের মুঠোফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই মামলার একাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।