মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের সাথে সাথেই একদল দুর্বৃত্ত শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিস ও সার্ভার সেন্টারে হামলা চালায়। এ সময় জেলা নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন কক্ষে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং ল্যাপটপ ও কম্পিউটার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেই সাথে অফিসের দুটি সার্ভার, একটি জিপ গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন তারা। ফলে জেলা নির্বাচন অফিসের সকল সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে শেরপুর সদর থানাও অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হওয়ায় মামলাও করতে পারেনি অফিস কর্তৃপক্ষ। তবে ঘটনার ১৫ দিন পর সদর থানার সামরিক কার্যক্রম শুরু হলে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তবে ইতিমধ্যে বিকল্প ব্যবস্থায় শুধুমাত্র নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত ছাড়া সকল সেবা কার্যক্রম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ, আসবাবপত্র, ল্যাপটপ, কম্পিউটার গাড়িসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসব ক্ষয়ক্ষতি সরজমিনে দেখার জন্য বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, জেলা শেরপুর জেলা কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক এবং সদর উপজেলা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পরিদর্শনে এসে আঞ্চলিক কর্মকর্তা বেলায়াত হোসেন চৌধুরী জেলা নির্বাচন অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু করতে এবং ক্ষয়ক্ষতির সংস্কারের দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক জানায়, গত ৫ আগস্ট দুপুরের পর জেলা নির্বাচন অফিস লুটপাট ও জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি আমি উপর মহলে অবগত করি। কিন্তু শেরপুর সদর থানাও ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে থানা কার্যক্রম বিলম্ব হওয়ায় গত ১৮ আগস্ট একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রস্তুতি চলছে।