কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনদিন কেউ যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বিএনপি সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে চায়; যাতে কেউ যেন পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ, পরিবর্তিত হয়েছে ভাষা; এই পরিবর্তিত নতুন ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে। এই আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। সেটা না পারলে ছিটকে পড়তে হবে।
তারেক রহমান বলেন, এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের আক্রমণের ধরন বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ। এদের অবস্থান অন্ধকারে, এরা সর্বত্র। এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
দলের সকল নেতাকর্মীদের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফলতা আর জনপ্রিয়তার একমাত্র ভিত্তি ছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। এদেশের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা আর আস্থাই বিএনপির একমাত্র শক্তি। জনগণের এই প্রতিষ্ঠিত ভালোবাসাকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করতে হবে, কোনভাবেই এটা বিনষ্ট করা যাবে না। আর কেউ যদি কোন অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তাহলে সে যত বড়ই হোক, দল তাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেবে না।
বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তারেক রহমান গত বছর জুলাইয়ে উপস্থাপিত ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী-গুণীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুইকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়।
তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়। নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য শিক্ষা কৃষি অর্থনীতি সকল ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম বর্ণ গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ।