মোঃ বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। সুুুষ্ঠু নিবার্চন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ছাত্রজনতার অদ্ভুত্থানে দেশ গড়ার যে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগের দোসর এবং তাদের প্রেতাত্মারা নেমে পড়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত তিতাস মোর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, বিএনপি’র জাতীয় নিবার্হী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মাশার্ল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ‘র’ এর এজেন্টরা ভয়ঙ্করভাবে কাজ করছে। তবে তাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর হচ্ছে- ‘বিএনপির মধ্যের মোনাফেক ও বর্ণচোরারা। তাদের প্রতিহত করতে বিএনপির সকল নেতাকর্মিদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শহিদদের রক্তের দাগ শুকায়নি। এখনও চলছে স্বজন হারাদের আহাজারি। অথচ এরই মধ্যে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা এবং তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশকে অস্থিতিশীল ও অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশে-বিদেশে নানামুখী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখে ছাত্রজনতার বিজয়কে নস্যাৎ করতে চাইছে।
এয়ার ভাইস মাশার্ল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই অন্যায়ভাবে ভারত বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করেছে। এতে ১২ জেলা এবং সেখানের বাসীন্দারা নজিরবিহীন ক্ষতির শিকার হয়েছেন। বিএনপি সেই বন্যাকবলিত অসহায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। একারণে আজ ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন কর্মসূচি বাতিল করে দুর্গত মানুষের পাশে থেকে আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘রাতের আধারে ভোটবিহীন পাতানো নিবার্চনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে দলীয় সন্ত্রাসী, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গুম, খুন, অত্যাচার-নিপীড়ন, দুনর্ীতি ও লুটতরাজ এবং অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করেছিলো শেখ হাসিনা। কিন্তু কোটা সংস্কার ইস্যুতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনের তোড়ে ‘তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে স্বৈরশাসকের মসনদ’। এর মাধ্যমে জাতি পেলো দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার স্বাদ, রক্ষা পেলো দেশের সার্বভৌমত্ব।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা পালিয়ে শেষরক্ষা পাবে না। ছাত্রজনতার অদ্ভুত্থান দমনের নামে গণহত্যা, বিডিআর হত্যা, হেফাজত হত্যা এবং বিএনপি নেতাকর্মিদের গুম, হত্যার দায়ে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তার অপকর্মের সঙ্গীদের কঠোর বিচার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এয়ার ভাইস মাশার্ল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিলো জানকবুল লাখো বীর ছাত্রজনতা। এছাড়া ছাত্র গণঅদ্ভুত্থান এবং স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের অগ্রনায়ক শহিদ আবু সাঈদ সহ ঘাতকের পৈশাচিকতায় শহিদ হওয়া ও আহত সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ‘জেলা বিএনপি নেতা মাকসুদ আহম্মেদ বায়জিদ পান্না, এ্যাড. ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম, এ্যাড. আনিসুর রহমান আনিস, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি লায়লা ইয়াসমিন সহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।’