কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণহত্যাকারীরা দেশ থেকে পালিয়ে এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতে রাজি নই আমরা। যারা গণঅভ্যুত্থানের মুখে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে, তারাই জনগণের বিজয় নস্যাৎ করার অপচেষ্টা করছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষ্যৎ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমানে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী। তাদের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান করে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের অর্জিত বিজয় নস্যাৎ করার চক্রান্ত শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
এ সময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ফখরুল আরো বলেন, এতগুলো ছাত্র-জনতাকে হত্যা করার পর দলটি আবারও দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাই এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
সহিংসতা ও ষড়যন্ত্র দমনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি এবং অন্যান্য দল সব ধরনের সহযোগিতা করবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, বর্তমান ড. মো. ইউনূসের সরকারকে নির্দিষ্ট কিছু সময় দিতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে বিএনপি।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার গল্প ফাঁদা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। দ্রুত এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল। আশা প্রকাশ করেন, আগের মতো অসাম্প্রদায়িক এক সমাজে বাস করবে মানুষ।
এসময় সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
এর আগে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণভবন অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি ঘিরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। এরপর গত ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বতী সরকার গঠন করা হয়।