এন জি চক্রবর্তী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ৩২তম অংশ
দ্বিতীয় ভাগ।
ছাব্বিশ অধ্যায়।
ফেরি করে মাল বেচা।
প্রয়োজন হবে দু’প্রস্থ বা ডুপ্লিকেট হিসাবের খাতার।
ব্যবসার প্রয়োজনে আপনি নিজে অথবা আপনার কোন প্রতিনিধি ফেরি ক’রে মাল বেচতে পারেন। যদিও সেক্ষেত্রে হিসাব রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, তবুও বলব, যিনিই বেচুন দু’প্রস্থ খাতা রাখা দরকার। এক প্রস্থ অফিসে রাখার, আরেকটি ফেরিওয়ালার সংগে সংগে ঘুরবে। এমনকি আপনি নিজেও যদি ফেরি করে বেচেন, তাহলেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে যে যে মালগুলো আপনি সংঙ্গে নিচ্ছেন – মানে ইনভেন্টরী – তার একটা তালিকা করুন। আপনি একটা নোটবইএ মালের তালিকা আর ভ্রমনবৃত্তান্ত মানে – কোথা থেকে কোথায় গেলেন – মানে ’ট্রিপ বুক’ – তার বিবরণ লিখুন যাতে পরে আপনি ডাবল এন্ট্রি সিস্টেমকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি কেনেন, বেচেন বা বদলাবদলি করেন- যাইই করেন, আপনি আপনার ’ট্রিপ বুক’ এ ডেবিট ক্রেডিট মানে জার্নালটি লিখে রাখুন। বিবরণে থাকবে মাল, দর, ক্রেতার ন্মম, নগদ, মূলধন, লাভ এর বিস্তারিত বিবরণ আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়। অন্যে যে যাইই বলুক এটা খুব কার্যকর একটা পদ্ধতি। আপনার প্রতিটি ট্রিপ যদি কারো সৌজন্যে হয়ে থাকে তাহলে প্রতিটিতে তাঁর নামও লিখে রাখুন। ট্রিপে রওনা হওয়ার সময় সংগে নেয়া সমস্ত মালের ট্রিপ ইনভেন্টরীকে ডেবিট আর টিপ স্পন্সরকে ক্রেডিট করুন। ইনভেন্টরী আর মূলধনের যে হিসাব অফিসে রাখা খাতাপত্রে দিতেন তার মতই আপনি আপনার ট্রিপ খাতাটিকে ডাবল এন্ট্রির উপযুক্ত করে তুলুন।
ট্রিপ থেকে সহি সালামত মত ফেরত আসার পরে আপনি আপনার মূল লেজারে নগদ প্রাপ্তি, লাভের পরিমান, মালামাল কি বিক্রী হলো, কি ফেরৎ এলো তা এন্ট্রি করুন। এভাবে আপনি আপনার প্রতিটি ট্রিপ রেকর্ড পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবেন। আপনি যদি আপনার সংগে নেওয়া মালের একটা অংশ অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করেন, মাল গ্রহীতাকে খরিদ্দার হিসাবে বাকীতে বা নগদ যেভাবে ডেবিট করতেন ঠিক সেভাবেই আপনার নগদকে ও ইনভেন্টরী হিসাবকে আলাদা আলাদাভাবে রাখুন। যার কাছে আপনি মাল পাঠালেন, সেও নিশ্চয়ই আলাদাভাবে হিসাব রাখবে, যেখানে আপনি হবেন তার পাওনাদার। ভবিষ্যতে যখন আপনাদের দু’জনের দেখা হবে, তখন যার যার হিসাব মিলিয়ে নিন। আর এমনকি আপনার হয়ে আপনার এজেন্ট কাউকে যদি কেউ কোন কারণে ধরেও রাখে, তাহলেও তার ট্রিপখাতাটা তার হয়ে সমস্ত কথাই বলবে। (চলবে)