বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া শহরে মসজিদের ভেতরে ঢুকে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালের সদরের এরুলিয়া জিলাদাঁড় পাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রতন জিলাদার কাবিলা (৩২) ওই এলাকার শাবদুল জিলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় মাংসের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
রতন জিলাদার কাবিলা নামের নিহত ওই যুবকের পরিবারের দাবি, স্ত্রীকে ধর্ষণ ও উত্তপ্ত করার প্রতিবাদ করেছিল রতন। তাই প্রতিবেশী দুই যুবক এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
এরুলিয়া বড় জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন আসলাম হোসেন জানান, শুক্রবার ফজরের আযান দেওয়ার পর তিনি টয়লেটে যান। এ সময় ভেতর থেকে শুনতে পান মসজিদ চত্বরে কাউকে মারপিট করা হচ্ছে। কয়েক মিনিট পর বাইরে এসে তিনি দেখতে পান মসজিদের বারান্দায় রক্তাক্ত পড়ে আছেন রতন জিলাদার কাবিলা। এ সময় তিনি মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে ডাকলে তারা এসে রতনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। সকালে সেখানেই মারা যান রতন।
নিহত রতনের বোন সফুরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী আমিন ও আরিফ ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করে আসছিল রতনের স্ত্রীকে। গত মঙ্গলবার তারা দুজন আবারও একই উদ্দেশ্যে রতনের বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করলে ঘটনা জানতে পারেন রতন। পরদিন বুধবার তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে লাঠি দিয়ে প্রতিবেশী আমিন ও আরিফকে আঘাত করেন। স্ত্রীকে ধর্ষণের কথা জানা এবং অভিযুক্তদের লাঠি দিয়ে আঘাত করার জেরেই আরিফ ও আমিন রতনকে হত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইহান ওয়ালীউল্লাহ জানান, মাংস দোকানের কর্মচারী রতন শুক্রবার ভোরে বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে, প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।