আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় অসুস্থ গাভী গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে ডালিম মিয়া নামের এক কসাইকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অসুস্থ গাভী গরু জবাই করে মাংস বিক্রি ও এড়ে বলে অসুস্থ গাভীর মাংস বিক্রয়ের প্রতারণা হাতেনাতে প্রমাণিত হওয়ায় কসাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, সোমবার সকালে একটা ফোন কল মারফত জানতে পারি যে ডিঙ্গেদহ বাজারে কিছু কসাই একটা অসুস্থ গরু বাইরে থেকে জবাই করে এনে মাংস বিক্রি করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাথে সাথে বেলা ১২ দিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্র ডালিম মিয়া নামে একজন কসাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। সাথে থাকা অপর দুজন কসাই খোকন মিয়া ও সুজন মিয়াকে মাংস বিক্রিকালে পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সেখানে উপস্থিত হন।
মাংস ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, একটি অসুস্থ গাভী গরু নিজেরাই জবাই করে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। সেই সাথে আরও একটি বড় প্রতারণার বিষয় হচ্ছে যে, সকালে তারা একটি ভালো এড়ে গরু জবাই করে সেই মাংস সব বিক্রি করার পর ওই এড়ে গরুর মাথা ও জেন্ডার নির্দেশক অন্যান্য অংশগুলি এই অসুস্থ গাভী গরুর মাংশের সাথে রেখে উচ্চ মূল্যে এড়ে গরুর মাংশ বলে বিক্রি করছিলেন। পরবর্তীতে বাজার কমিটির মাধ্যমে কসাই ডালিমকে হাজির করা হয়।
অসুস্থ গাভী গরু জবাই করে মাংস বিক্রি ও এড়ে বলে অসুস্থ গাভীর মাংস বিক্রির প্রতারণা হাতেনাতে প্রমাণিত হয়। পুর্বেও তারা এধরণের কার্যকলাপ করেছেন বলে জানা গেছে। ওই অপরাধে কসাই ডালিম মিয়াকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩ ও ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় প্রায় ২মনের অধিক অস্বাস্থ্যকর মাংস জব্দ করে বাজার কমিটির সহায়তায় জনসম্মুখে কেরোসিন তেল দিয়ে ও মাটিতে পুতে ফেলে নষ্ট করা হয়।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।
এ সময় ডিঙ্গেদহ বাজার কমিটির তরুণ নেতৃবৃন্দকে জানানোসহ জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সজল আহম্মেদ।