কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে উদয়ন এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর ভুক্তভোগী তরুণীকে পাঠানো হয়েছে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম। ভুক্তভোগী তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকেন এবং তার বাড়ি বান্দরবানে বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের তিন কর্মী মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদ (২৭)।
ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে ছেড়ে আসে। ওই ট্রেনে বাড়ি যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে আসছিলেন ভুক্তভোগী তরুণী। তিনি ভৈরব থেকে ট্রেনে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করছিলেন। চলন্ত ট্রেনটি লাকসাম এলাকা পার হলে এস এ করপোরেশনের কর্মীরা তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে রেলওয়ের চট্টগ্রাম স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনায় কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করেননি। তবে সন্ধ্যায় বিষয়টি জানতে পারেন। এই ঘটনায় ট্রেনের গার্ড আবদুর রহিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে আছেন।
এ ঘটনার পর ট্রেনটির পরিচালক আব্দুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পূর্বাঞ্চল রেল। পাশাপাশি এই ঘটনায় কারও গাফেলতি ছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের রেল পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী।