October 7, 2024 - 7:40 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeজাতীয়ছাগলকাণ্ডের আলোচিত মতিউরের 'অবৈধ' সম্পদের খোঁজে দুদক

ছাগলকাণ্ডের আলোচিত মতিউরের ‘অবৈধ’ সম্পদের খোঁজে দুদক

spot_img

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান শুরু। এছাড়া তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে তিন সদস্যের টিম গঠন করেছে দুদক।

দুদকের তদন্তের বিষয়টি রোববার (২৩ জুন) নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব এ টিম গঠন করা হয়েছে। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে মতিউর রহমানকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরপি) সংযুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হলো। তবে কেন এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, ‘জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

এর আগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এরপরই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাদ পড়েছেন মতিউর রহমান। এরই মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে বিষয়টি মতিউর রহমানকে জানিয়েছে। সোনালী ব্যাংকের সিইও আফজাল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, ঈদের ছুটির পর এখনো কর্মস্থলে যোগ দেননি মতিউর রহমান। সকালে ভ্যাট ও কাস্টমস আপিলেট ট্রাইব্যুনালে তাকে পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ দেননি মতিউর রহমান।

সম্প্রতি কুরবানির জন্য ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। সাদিক এগ্রোতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ওই ছাগলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ইফাত বলেন, ‘এ রকম একটি খাসি কেনা আমার স্বপ্ন ছিল। এ রকম খাসি আমার জীবনে প্রথম দেখা। এটা আমার হবে, জানা ছিল না। আল্লাহ নসিবে রাখছে, তাই হইছে। ১১ জুন এটি ধানমন্ডি-৮ এ ডেলিভারি দেয়া হবে।

ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে গুঞ্জন ওঠে, তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। রাজস্ব কর্মকর্তা বাবার দুর্নীতির টাকায় তিনি ১৫ লাখ টাকায় খাসিটি কিনেছিলেন। এ ঘটনায় ওই ছেলে ও তার বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে চলছে বিস্তর সমালোচনা। এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তবে শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান। এ বিষয়ে মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি। সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাব।

তবে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ