আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রাজিলে দাঙ্গার পর চলছে ধরপাকড়। হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইল বলসোনারোর সাবেক বিচারমন্ত্রী ও জননিরাপত্তা প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত হামলার অভিযোগে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেস অ্যান্ডারসন টরেসকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তিনি বলসোনারোর বিচারমন্ত্রী ছিলেন, ব্রাসিলিয়ার জননিরাপত্তা প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রোববার ব্রাসিলিয়ার সুপ্রিম কোর্ট, কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালায়।
এর আগে, রোববার অ্যান্ডারসন টরেসকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রোববার হামলার ঘটনার দিন তিনি ব্রাসিলিয়ায় ছিলেন না। তিনি ফ্লোরিডায় পাড়ি জমান। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এক টুইটার বার্তায় তিনি জানান, তিনি অরল্যান্ডো থেকে ব্রাজিলে ফিরে আসবেন, সেখানে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন।
বিচারপতি মোরেস ব্রাসিলিয়ার মিলিটারি পুলিশের প্রধান ফ্যাবিও অগাস্টো ভিয়েরাকেও গ্রেফতারের অনুরোধ জানান। যিনি ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোর সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের একজন।
এই জুটির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিশদ বিবরণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানায়, মোরেস তাদের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, ‘ব্রাজিলের গণতন্ত্রের জন্য এমন একটি সংবেদনশীল মুহুর্ত, যেখানে সারাদেশে সামরিক ভবন দখলের সঙ্গে সারাদিন ধরে গণতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে এবং ব্রাসিলিয়াতে কেউ অজ্ঞতা বা অক্ষমতার অজুহাত ব্যবহার করতে পারে না।’
রোববারের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা, একজন বামপন্থি নেতা। তিনি গত অক্টোবরের নির্বাচনে বলসোনারোকে হারিয়ে ১ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ ভবনে হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স