আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিক্ষোভকারীরা দেশটির একটি বিমানবন্দরে হামলার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পেরুর পুনো অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জুলিয়াকাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে রক্তপাতের নতুন এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় গভর্নর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
স্থানীয় ক্যালোস মঙ্গে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, জুলিয়াকাতে সোমবার নিহত ব্যক্তিদের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। সোমবারের প্রাণহানিসহ কাস্টিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জেরে সৃষ্ট বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
জুলিয়াকার মেয়র অস্কার ক্যাসেরেস শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে জোর আবেদন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পেরুভিয়ানরা একে অপরকে হত্যা করছেন। এমন দৃশ্য সহ্য করা অসম্ভব। সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
মূলত, গত এক মাস ধরে রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পেরু। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোকে।
অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মেক্সিকোর আশ্রয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন কাস্টিলো। তবে সেসময় বিশ্বস্ত দেহরক্ষীরা তাকে রাজধানী লিমার মেক্সিকান দূতাবাসে আশ্রয় নিতে বাধা দেন।
ক্ষমতাচ্যুত করার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে কাস্টিলোকে বন্দি করা হয়। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দিনা বোলোয়ার্তে। তারপর থেকেই কার্যত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে রয়েছে দেশটি।
৬০ বছর বয়সি দিনা পেরুর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তবে কাস্টিলোকে ক্ষমতাচ্যুত ও গ্রেফতারের পর দায়িত্ব নেওয়া এ নেতৃকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বামপন্থি কাস্টিলোকে অপসারণে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা একই সঙ্গে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স