অনলাইন ডেস্ক : দিল্লির রাজঘাটে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দিল্লির রাজঘাটে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দিন সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)-কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় রুপি (দুই দেশের সাধারণ মানুষ)-এর মধ্যে লেনদেন সহজ করার বিষয়ে স্বাক্ষরিত হয়।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’ শীর্ষক দুটি বক্তৃতা দেন।
‘ওয়ান আর্থ’ ও ‘ওয়ান ফ্যামিলি’সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদকালে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন:
মরক্কোতে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঢাকা-দিল্লী সম্পর্ক আরও জোরদারে শেখ হাসিনা-মোদির ঐকমত্য
বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর