আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের নতুন কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতেমার বেন-গাভির দেশটির পুলিশকে পাবলিক প্লেস থেকে ফিলিস্তিনের পতাকা সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার (৮ জানুয়ারি) তিনি এ নির্দেশ দেন।
ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানো আইনতভাবে অবৈধ নয়। তবে যদি সে দেশের পুলিশ অথবা সৈন্য ফিলিস্তিনি পতাকাকে কোথাও নিরাপত্তাজনিত কারণে হুমকি বলে মনে করে তবে তা সরিয়ে ফেলতে পারে।
বেন-গাভির, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকারে একটি অতি-জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান ও মন্ত্রী হিসাবে পুলিশকে তত্ত্বাবধান করেন। এটি তার কঠোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৮৩ সালে একজন ইসরায়েলি সৈন্যকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিনি বন্দী গত সপ্তাহে মুক্তি পান। তিনি উত্তর ইসরায়েলে তার গ্রামে স্বাগত জানানোর সময় ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ান।
বেন-গাভির এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানো এখন থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে গণ্য করা হবে। ফিনিস্তিনি পতাকাকে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠনের পতাকা আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, পতাকা উড়িয়ে সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই সব জায়গা থেকে পতাকা সরিয়ে ফেলতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলে আরবদের জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ রয়েছে এবং বেশিরভাগই ফিলিস্তিনিদের বংশধর, যারা ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে নতুন রাষ্ট্রের মধ্যে থেকে যায়। এসব মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের রাজনীতিতে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক করছে। তাদের ইসরায়েলি নাগরিকত্বের সঙ্গে তাদের ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যের ভারসাম্য রক্ষা করছে।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের নিন্দা ও তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করেই আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতেমার বেন-গাভিরের সফরের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। সফরে, আল আকসাকে হামাসের সম্পদ হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বেন গাভির।
এ ঘটনাকে নজিরবিহীন আখ্যা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, সীমা অতিক্রম করেছে তেল আবিব। তারা বলছে, আল আকসাকে সিনাগগ বানাতে চায় নেতানিয়াহু প্রশাসন। সূত্র: রয়টার্স