বিনোদন ডেস্ক : বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমুল জনপ্রিয়। দিদি নম্বর ওয়ান রিয়ালিটি শোয়ের হাত ধরে তিনি পৌঁছে গেছেন বাঙালির ঘরে ঘরে। বাংলার মেয়েদের সুখের দুঃখের জীবনযুদ্ধের গল্প উঠে আসে এই মঞ্চে। এবার সেই মঞ্চে ‘মা’ রচনার গল্প তুলে ধরেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, রচনার মতো মা একটু হতে পারলেও ধন্য। কিন্তু কেন একথা বললেন তিনি, তা নিজেই খোলসা করেন সেই পর্বে।
গত রবিবারে সম্প্রচারিত হয় ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর একটি বিশেষ এপিসোড। সেই এপিসোডে এসেই সুদীপা চট্টোপাধ্যায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন, যা শুনে অবাক উপস্থিত সেলেব থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক। একথা সকলেরই জানা যে রচনা সিঙ্গল মাদার। একদিকে তিনি টানা কাজ করে চলেছেন তো অন্যদিকে সংসার ও একমাত্র ছেলেকেও তিনি সামলান। মাঝে মাঝেই নানা গল্পের মাঝে ছেলের গল্পও করেন রচনা। এদিন সুদীপা তুলে ধরেন ‘মা’ রচনার গল্প।
সুদীপা বলেন, বেশ কিছু বছর আগে তিনি ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় একই স্টুডিয়োতে শ্যুটিং করতেন। তখন তাঁর পাশেই রচনার মেক-আপ রুম ছিল। প্রায়দিনই সুদীপা দেখেন যে সেখানে একটা বোরকা ঝোলানো থাকত সব সময়! কিন্তু কাউকে সেটা পরতে দেখেননি তিনি! একদিন তিনি রচনার হেয়ার স্টাইলিস্টকে প্রশ্ন করেন, ‘এই বোরকাটা কে পরে! সে যা বললো তা শুনে তো আমি অবাক!” সুদীপা জানতে পারেন যে ওই বোরকাটি রচনাদির। তবে তা শ্যুটিংয়ের জন্য নয়। শ্যুটিং শেষ হয়ে গেলে রচনা ওই বোরকা পরে সেটের গাড়ি করে সেখান থেকে মেট্রো স্টেশনে যেতেন এবং তারপর মেট্রোয় চেপে কালীঘাট যেতেন। কালীঘাটে তাঁর নিজেরগাড়ি থাকত, সেটা করে বাড়ি যেতেন।
কিন্তু কেন মেট্রো করে বাড়ি যেতেন রচনা? সুদীপা জানান যে গাড়ি করে সেট থেকে বাড়ি ফিরতে দীর্ঘ সময় লাগবে অন্যদিকে বাড়ি গিয়ে নায়িকা ছেলেতে পড়াতেন। তাই সময় যাতে বেশি নষ্ট না হয়, তাই গাড়ি ছেড়ে মেট্রোতে যাতায়াত করতেন তিনি। রচনার এই কাহিনী শুনে চমকে যান সেদিনে বিশেষ অতিথি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি মা হিসাবে রচনাকে হ্যাটস অফ জানান সুদীপা। সূত্র-জিনিউজ।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে সিঙ্গেল হিসেবেই জীবন কাটাচ্ছেন ফারিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ৫ আগস্টকে ‘ববিতা দিবস’ ঘোষণা
রজনীকান্তের সিনেমা দেখতে চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর অফিসে ছুটি ঘোষণা