নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন । এজন্য অবস্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস), শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি), আনুপাতিক হার (পিও রেশিও), কারণ এগুলো একটি কোম্পানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূন্য । একটি কোম্পানির পিও রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম । কারণ পিও রেশিও না থাকলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে । সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিও রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবস্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ । পিও রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনভি) । এটি যত বেশি বিনিয়োগের জন্য ততই উত্তম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হলো ২০১৮ সালে ৪৭ টাকা ৩৮ পয়সা, ২০১৯ সালে ৪১ টাকা ৩৪ পয়সা, ২০২০ সালে ৪৪ টাকা ০৫ পয়সা ২০২১ সালে ৫১ টাকা ৯৫ পয়সা এবং ২০২২ সালে ৮৫ টাকা ৩৭ পয়সা।
পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরের ভিতরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০১৮ সালে ৫২ টাকা ১৫ পয়সা, ২০১৯ সালে ৬৪ টাকা ২৩ পয়সা, ২০২০ সালে দশমিক ৮৪ টাকা ০১ পয়সা, ২০২১ সালে ৯৮ টাকা ৬৯ পয়সা এবং ২০২২ সালে ১১২ টাকা ৮২ পয়সা।
জানা যায়, ২০২২-২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২২-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩২ টাকা ৬৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোম্বর’২২-ডিসেম্বর’২২)কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৩ টাকা ৫১ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরের কোম্পানিটি বিনিয়োগ কারীদের, ২০১৮ সালে ৬০০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৬৫০ শতাংশ, ২০২০ সালে ৯৫০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯০০ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৮০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
কোম্পানিটি গত ৫ বছরে কোন বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেনি।
পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, কোম্পানিটি ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে ২০০৯ সালে দেশের প্রধান শেয়ার বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় । কোম্পানিটির বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা । অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ টি । তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠনিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬.১৫ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১.৯৭ শতাংশ শেয়ার, এবং বাকি শেয়ারের ১.৪৮শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। গত এক মাসে দর ওঠানামা হয়েছে ১২১৭.৯০-১২১৭.৯০।একবছরে দর ওঠানামা হয়েছে ১২১৭.৯০-১৩৮০.০০ টাকা। সঞ্চয় ও বাড়তি আয় ২ হাজার ৮২৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা; হিসাব বছর ‘জলাই-জুন’। হালনাগাত প্রান্তিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৬.২ এবং বার্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৫.৫৪ (পিই রেশিও)।
পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ‘ওষধ ও রসায়ন’ খাতের এ কোম্পানিটি বর্তমানে “এ ” ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে।