নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সুশাসন নিশ্চিতে কাজে করছে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও বিনিয়োগকারীরা যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিয়েও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর ‘কোম্পানি সুশাসন ও মানসম্পন্ন নিরীক্ষা প্রতিবেদন’ বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এসময় তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ২০০৬ সালে কর্পোরেট সুশাসনের গাইডলাইন দেওয়া হয়। অডিট নিশ্চিতে আইসিএসবি সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর ফলে ধীর ধীরে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সুশাসন নিশ্চিত হবে। এছাড়া সকল ক্ষেত্রে অটোমেশন চালুর ক্ষেত্রে কাজ করছি। এর মাধ্যমে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
আরিফ খান বলেন, একটি কোম্পানির জন্য অডিট পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অডিট করার পরেও অনেক অনিয়ম বের হয়। সেই অনিয়ম রোধে কোম্পানি সুশাসন দরকার। একটি কোম্পানি কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে তার একটি সঠিক পদ্ধতি হলো কোম্পানি সুশাসন। আইন যারা পরিচালিত করছে তারা সৎ কিনা সেটাও দেখতে হবে। অধিকাংশ কোম্পানিতে এমডিরা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকেন। ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান থেকে তারা টাকা বের করে নিয়ে যায়।
আইসিএবির কাউন্সিল মেম্বার মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন বলেন, কোম্পানি যারা চালায় তাদের জন্য কোম্পানি সুশাসন। তাই প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতনদের দিকে নজর বাড়াতে হবে। কারণ তারাই এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকেন। এগুলো বন্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষের সম্পদ নিয়ে কাউকে অবহেলা করতে দেওয়া উচিৎ না।
একইসঙ্গে সবকিছু অটোমেশন করতে হবে। এতে অর্থ লুটপাটের পরিমাণ কমে আসবে। সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসিসি সহ অন্যান্য সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া আইসিএসবি সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, কর্পোরেট লস্ট থেকেই কোম্পানি সুশাসন। এর মাধ্যমে পরিচালকদের মাইন্ড সেট করতে হবে। এছাড়া কোম্পানি আইন আপডেট হচ্ছে না। এখনো ১৯৯৪ সালের পুরনো আইন দিয়ে কোম্পানিগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
এবারের এক্সপোতে বিএসইসি, সিডিবিএল, বিআইসিএম, বিএএসএম, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবি, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, লিস্টেড কো্ম্পানি, সম্পাদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তিনদিনের এক্সপোতে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ের উপর চারটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেমিনারে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর শীর্ষ কর্মকর্তা, খ্যাতনামা স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, অ্যাসেট ম্যানেজার, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।
ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো সকাল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে। এক্সপোতে প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট লাগবে না। উল্টো প্রবেশ কূপনের র্যাফেল ড্রতে থাকবে মূল্যবান সব পুরস্কার।