নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।
সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী বরিশালের নতুন মেয়র নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বড় ধরনের কোনো সংঘাত ছাড়াই অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকাল ৪টায় শেষ হয় নির্বাচন। পরে ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ হয়।
বরিশালে এবার মেয়র পদে লড়েছেন ৭ জন। আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি, বিএনপি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এবার ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়া সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী লড়েছেন। নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন নির্বাহী হাকিম এবং ১০ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৬ হাজার সদস্য কাজ করেছেন। ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ৩০টি মোবাইল ফোর্স, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ৩টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করেছে ভোটের মাঠে। তাদের সঙ্গে ছিল র্যাবের ১৬টি টিম।
ভোটকেন্দ্র মনিটরিংয়ে এক হাজার ১০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ভোট নেয়া হয় এক হাজার ৩৪০টি ইভিএমে।