ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক: রিপাবলিকানদের মতবিরোধে আটকে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকার নির্বাচন। তিন দফা ভোটাভুটির পরও যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকার নির্বাচনে কোনো ফলাফল আসেনি। ফলে স্থানীয় সময় বুধবার পর্যন্ত নির্বাচন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে রিপাবলিকান দলে সমর্থনের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা প্রার্থী কেভিন ম্যাকার্থি শেষ পর্যন্ত স্পিকার হচ্ছেন কি না তা জানতে অপেক্ষার পালা বাড়ল। এখবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। যুক্তরাষ্ট্রে গত মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় রিপাবলিকান দল। সে হিসেবে দলটির প্রার্থী ম্যাকার্থিই স্পিকার হবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল। তবে বাধ সাধে পরিষদে রিপাবলিকান সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি।
স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার জন্য ম্যাকার্থির কমপক্ষে ২১৮ ভোটের দরকার ছিল। মঙ্গলবার তৃতীয় দফা ভোটে তিনি পেয়েছেন ২০২ ভোট। রিপাবলিকান দলের অপর সদস্য জিম জর্ডান পেয়েছেন ২০ ভোট। ম্যাকার্থিকে ভোট না দিতেই জর্ডানকে স্পিকার প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তাঁকে ভোট দেওয়া ২০ রিপাবলিকান সদস্য।
২১৮ ভোটের লক্ষ্য অবশ্য পূরণ করতে পারেননি প্রতিনিধি পরিষদের অন্য কেউও। পরিষদে ডেমোক্র্যাট দলের সব সদস্যই তাঁদের প্রার্থী হাকিম জেফরিসকে ভোট দিয়েছেন। ফলে সর্বোচ্চ ২১২ ভোট নিয়ে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি স্পিকার নির্বাচিত হতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
এদিকে নির্বাচনের বিষয়ে জিম জর্ডান বলেছেন, তাঁর স্পিকার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বুধবার চতুর্থ দফা নির্বাচনে কেভিন ম্যাকার্থিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য দলের সদস্যদের বলবেন তিনি। এমনকি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আগেও তিনি বলেছিলেন, স্পিকার পদের জন্য ম্যাকার্থিই যোগ্য ব্যক্তি।
তবে কেভিন ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া রিপাবলিকান সদস্যরা জর্ডানের কথা মানতে নারাজ। তাঁদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে পেছনে ফিরছেন না তাঁরা। এমনকি ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে বুধবার আরও অনেকে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করছেন। এমনই একজন রিপাবলিকান সদস্য বব গুড। তিনি বলেছেন, ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে তাঁরা শেষ সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছেন।
গত নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর নতুন স্পিকার নির্বাচনের পথ তৈরি হয়। সে হিসেবেই মঙ্গলবার নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এভাবে নির্বাচন মুলতবি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে খুবই বিরল। সবশেষ প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকার নির্বাচন মুলতবির ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৯২৩ সালে।
আরও পড়ুন:
নিউইয়র্কের ৭৯ স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য মিলছে ‘হালাল খাবার’