আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ফল ব্যবসায়ী বাবর আলী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দেশীয় অস্ত্র। পারিবারিক কলহের জেরে নিজের স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী মহিমা খাতুন। সাজান হত্যাকাণ্ডের নাটক।
রোববার দুপুরে দর্শনা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামে ফল ব্যবসায়ী বাবর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় গতকাল শনিবার বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই সাবের আলী। মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নিহতের স্ত্রী আসামী মহিমা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। পরে বসত বাড়ীর শয়ন কক্ষের খাটের নিচ থেকে নিজেই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাসুয়াটি বের করে দেন মহিমা খাতুন।
কিন্তু ঘটনার দিন হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন বলেন, ঘটনার সময় সে ও তার ছেলে ঘরের ভিতর ঘুমাচ্ছিল। তার স্বামী বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে তার স্বামীকে ডেকে উঠানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি। পরে চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পালিয়ে যান তারা। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা জানান, মূলত ঘটনার দিন রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাবর আলীর সাথে তার স্ত্রী মহিমা খাতুনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাবর আলীর কাছে থাকা ধারালো হাসুয়া কেড়ে নিয়ে তার গলায় কোপ মারেন মহিমা খাতুন। পরে তার স্বামীকে অজ্ঞাতই তিন ব্যক্তি হত্যা করেছে বলে নাটক সাজান তিনি। আজ বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চকরিয়ায় ৬ ভাইকে ট্রাক চাপায় হত্যা: চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড