আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: কালীগঞ্জের বহুল আলোচিত মিতা বিশ্বাস ও তার স্বামী সুব্রত নন্দিকে উপজেলা পরিষদের সরকারী বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম।
গত ৯ মে জেলা প্রশাসক তার দপ্তরের ৩৩৭ নং স্মারকে এই চিঠি দেন। চিঠিতে আগামী এক মাসের মধ্যে এই দম্পত্তিকে বাসা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাসা না ছাড়লে উপজেলা পরিষদের বাসা বরাদ্দের নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের হুসিয়ারী দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক কামরুজ্জামানকে ২০১৫ সালে ‘নিারালা’ বাসাটি বরাদ্দ দেন। বাসাটিতে তিনি বসবাস না করে মিতা বিশ্বাস ও তার স্বামী সুব্রত নন্দিকে বসবাসের সুযোগ করে দেন। চিঠিতে বলা হয় মিতা বিশ্বাস ও তার স্বামী সুব্রত নন্দি উপজেলা পরিষদের কোন কর্মচারী নয়, ফলে উপজেলা পরিষদের বাসা বরাদ্দের নীতিমালা মোতাবেক তাদের অনুকুলে বাসা বরাদ্দ প্রদান আইন বহির্ভুত। চিঠিতে আগামী এক মাসের মধ্যে বাসা খালি করার জন্য বলা হয়েছে। না করলে সরকারী আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম তার চিঠিতে উল্লেখ করেন।
এদিকে সরকারী কর্মচারী না হয়েও ২০১৫ সাল থেকে মিতা বিশ্বাস ও তার স্বামী সুব্রত নন্দি “নিারালা” বাসাটি কি ভাবে দখল করে বসবাস করছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির আস্থাভাজন মিতা বিশ্বাস ও তার স্বামী সুব্রত নন্দি এই সরকারী বাসা এতদিন দখল করে রাখলেও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।