আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৬ জনকে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
সোমবার (১৫ মে) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন তার নিজ কার্যালয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সময় মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন চুরি হয়ে থাকে। এর সাথে জড়িত আছে একশ্রেণির সিন্ডিকেট। তারা চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ পাশ্ববর্তী ক’একটি জেলায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ, পরিদর্শক (তদন্ত) এতরামুল হোসাইন, এসআই শেখ হাদীউজ্জামান এসআই লিটন কুমার মন্ডল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রোববার রাতে আলমডাঙ্গা থানার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালায়। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা শহরের সাদা ব্রীজের পাশে পশুহাট এলাকা থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ দু’জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার হাউসপুর স্কুল পাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে রাসেল (৩২) ও একই এলাকার মারজুল রহমানের ছেলে সোহেল। আটক দু’জনের শিকারোক্তিতে রোববার রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আব্বাস উদ্দিনকে (৪২) আটক করা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আব্বাসের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২ টার দিকে মিরপুর থানার বাঁশবাড়ীয়া কুরর্শা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১টি চোরাই মোটরসাইকেরসহ একই এলাকার মৃত মসলেম মন্ডলের ছেলে জমির আলীকে (৩৫) আটক করা হয়। রাত দেড়টার দিকে আলমডাঙ্গার উদয়পুর গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামের (৩৭) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করা হয়। রাত ২ টার দিকে আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের গাংপাড়ায় আব্দুল মজিদের ছেলে মারুফ হোসেনের (২৩) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেল সংগ্রহ করে নিয়ে এসে নিজেদের হেফাজতে রাখে এবং সময় সুযোগ মত বিক্রয় করে। আটককৃতদের মামলাসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৯টি মোটরসাইকেল আলমডাঙ্গা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রকৃত মালিকানা প্রমান করতে পারলে মোটরসাইকেল তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।