আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিভিন্ন স্থানে রুগ্ন একটি হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে তার মাহুত। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজার এলাকার রাকিবের চায়ের দোকানের সামনের একটি রুগ্ন হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করতে দেখা গেছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়ে আদায় করা হয় টাকা।
হাতির ভয়ে অনেক নারী বাইকার ও সাধারণ মোটরসাইকেল যাত্রীদের ভীতসন্ত্রস্ত দেখা গেছে। অনেক পথচারী হাতি দেখে দৌড়াতে পালিয়ে যায়। হাতির মাহুত লালন হোসেন পিঠে বসে বিশেষ নির্দেশ দিলে রুগ্ন হাতিটি মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস থামিয়ে টাকা আদায় করছে। হাতিটি তার শুঁড় উচু করে গতিরোধ করছে। পাঁচশ টাকার কম দিলে গ্রহন করছে না। এক’শ টাকা দিতে গেলে রাস্তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা দাড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। এমন এক যাত্রী হচ্ছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার মাইক্রোবাস চালক রাজিব হাসান।
তিনি জানান, আমি হরিণাকুন্ডু থেকে বিয়ের ভাড়া নিয়ে বিষয়খালীর কেশবপুর গ্রামে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিষয়খালী বাজার এলাকায় এক বিশাল রুগ্ন হাতি গতিরোধ করে দাড়ায়।
রাজিব জানান, আমার গাড়ি থামিয়ে ৫’শত টাকা দাবি করে। কিন্তু আমি তা দিতে রাজি না হওয়ায় গাড়িটি আটকে রাখে বেশ কিছু সময়। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখানো হচ্ছে। শুধু কি তাই! হাতিটি পরিচালনা মাহুতের ইচ্ছা অনুযায়ী টাকা না দিলে পথ আগলে রাখছে হাতিটি। এদিকে শুক্রবার ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলাসহ বিাভন্ন বাজারে হাতি নিয়ে চাঁদাবাজী করতে দেখা গেছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী দিয়ে সড়কে চাঁদাবাজি করা পেনাল কোডে এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে যে কেউ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।